January 12, 2016January 12, 2016 0 Comments
নবম পরিচ্ছেদ
মহেন্দ্র শকট হইতে নামিয়া একজন সিপাহীর প্রহরণ কাড়িয়া লইয়া যুদ্ধে যোগ দিবার উদ্যোগী হইয়াছিলেন। কিন্তু এমন সময়ে তাঁহার স্পষ্টই বোধ হইল যে, ইহারা দস্যু ; ধনাপহরণ জন্যই সিপাহীদিগকে আক্রমণ করিয়াছে। এইরূপ বিবেচনা করিয়া তিনি যুদ্ধস্থান হইতে সরিয়া গিয়া দাঁড়াইলেন। কেন না, দস্যুদের সহায়তা করিলে তাহাদিগের দুরাচারের ভাগী হইতে হইবে। তখন তিনি তরবারি ফেলিয়া দিয়া ধীরে ধীরে সে স্থান ত্যাগ করিয়া যাইতেছিলেন, এমন সময়ে ভবানন্দ আসিয়া তাঁহার নিকট দাঁড়াইল। মহেনন্দ্র জিজ্ঞাসা করিল, “মহাশয়, আপনি কে?”
ভবানন্দ বলিল, “তোমার তাতে প্রয়োজন কি?”
ম। আমার কিছু প্রয়োজন আছে। আজ আমি আপনার দ্বারা বিশেষ উপকৃত হইয়াছি।
ভ। সে বোধ যে তোমার আছে, এমন বুঝিলাম না – অস্ত্র হাতে করিয়া তফাৎ রহিলে – জমিদারের ছেলে, দুধ ঘির শ্রাদ্ধ করিতে মজবুত – কাজের বেলা হনুমান!
ভবানন্দের কথা ফুরাইতে না ফুরাইতে, মহেন্দ্র ঘৃণার সহিত বলিলেন, “এ যে কুকাজ–ডাকাতি।” ভবানন্দ বলিল, “হউক ডাকাতি, আমরা তোমার কিছু উপকার করিয়াছি। আরও কিছু উপকার করিবার ইচ্ছা রাখি।”
ম। তোমার আমার কিছু উপকার করিয়াছ বটে, কিন্তু আর কি উপকার করিবে? আর ডাকাতের কাছে এত উপকৃত হওয়ার চেয়ে আমার অনুপকৃত থাকাই ভাল।
ভ। উপকার গ্রহণ কর না কর, তোমার ইচ্ছা। যদি ইচ্ছা হয়, আমার সঙ্গে আইস। তোমার স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে সাক্ষাৎ করাইব।
মহেন্দ্র ফিরিয়া দাঁড়াইল। বলিল, “সে কি?”
ভবানন্দ সে কথার উত্তর না করিয়া চলিল। অগত্যা মহেন্দ্র সঙ্গে সঙ্গে চলিল – মনে মনে ভাবিতে লাগিল, এরা কি রকম দস্যু?
ভবানন্দ বলিল, “তোমার তাতে প্রয়োজন কি?”
ম। আমার কিছু প্রয়োজন আছে। আজ আমি আপনার দ্বারা বিশেষ উপকৃত হইয়াছি।
ভ। সে বোধ যে তোমার আছে, এমন বুঝিলাম না – অস্ত্র হাতে করিয়া তফাৎ রহিলে – জমিদারের ছেলে, দুধ ঘির শ্রাদ্ধ করিতে মজবুত – কাজের বেলা হনুমান!
ভবানন্দের কথা ফুরাইতে না ফুরাইতে, মহেন্দ্র ঘৃণার সহিত বলিলেন, “এ যে কুকাজ–ডাকাতি।” ভবানন্দ বলিল, “হউক ডাকাতি, আমরা তোমার কিছু উপকার করিয়াছি। আরও কিছু উপকার করিবার ইচ্ছা রাখি।”
ম। তোমার আমার কিছু উপকার করিয়াছ বটে, কিন্তু আর কি উপকার করিবে? আর ডাকাতের কাছে এত উপকৃত হওয়ার চেয়ে আমার অনুপকৃত থাকাই ভাল।
ভ। উপকার গ্রহণ কর না কর, তোমার ইচ্ছা। যদি ইচ্ছা হয়, আমার সঙ্গে আইস। তোমার স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে সাক্ষাৎ করাইব।
মহেন্দ্র ফিরিয়া দাঁড়াইল। বলিল, “সে কি?”
ভবানন্দ সে কথার উত্তর না করিয়া চলিল। অগত্যা মহেন্দ্র সঙ্গে সঙ্গে চলিল – মনে মনে ভাবিতে লাগিল, এরা কি রকম দস্যু?